Pages

Saturday, September 21, 2013

ধৈর্য ও নামাজ যাবতীয় সঙ্কটের প্রতিকার

ধৈর্য ও নামাজ যাবতীয় সঙ্কটের প্রতিকার

বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।” (সূরা আল বাকারা, আয়াত ১৫৩)
বন্ধুরা, ভালো আছো আশা করি। আজ তোমাদের সামনে পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরা সূরা আলা বাকারার একটি আয়াত নিয়ে আলোকপাত করছি।
ঈমানদারদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের বিপদ-মুসিবত, আনন্দ-বিনোদন সর্বাবস্থায় ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট, যাবতীয় প্রয়োজন ও সমস্ত সঙ্কটের নিশ্চিত প্রতিকার এ দু’টি বিষয়ের মধ্যেই নিহিত। প্রথমটি সবর বা ধৈর্য। দ্বিতীয়টি নামাজ। সবর অর্থ হলো সংযম অবলম্বন ও নফসের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ। কুরআন-হাদিসের পরিভাষায় সবরের তিনটি শাখা রয়েছে। ১. আত্মাকে হারাম এবং না-জায়েজ বিষয় থেকে বিরত রাখা, ২. নিজেকে আল্লাহর ইবাদাত ও আনুগত্যে বাধ্য করা এবং ৩. যে কোনো বিপদ ও সঙ্কটে ধৈর্যধারণ করা। আমাদের পড়ালেখায়, পরীক্ষায়, ফলাফল লাভে, ব্যবসায়-বাণিজ্যে, পরিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে সর্বক্ষেত্রে মানুষ যে সব অপ্রত্যাশিত বিষয়ের মুখোমুখি হয় তাকে মোকাবেলা করতে হয় ঠাণ্ডা মাথায় বুঝে শুনে। তবেই কেবল ফলাফলকে নিজের পক্ষে নিয়ে আসা যায়। ধৈর্যের নিজস্ব কিছু সুন্দর ব্যাখ্যা আছেÑ ১. তাড়াহুড়া না করা। নিজের প্রচেষ্টার ত্বরিত ফল লাভের জন্য অস্থির না হওয়া এবং বিলম্ব দেখে হিম্মত হারিয়ে না বসা, ২. তিক্ত স্বভাব, দুর্বল মত ও সঙ্কল্পহীনতার রোগে আক্রান্ত না হওয়া, ৩. বাধা-বিপত্তির বীরোচিত মোকাবেলা করা এবং শান্ত চিত্তে লক্ষ্য অর্জনের পথে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট বরদাশত করা, ৪.  সকল প্রকার ভয়ভীতি ও লোভ-লালসার মোকাবেলায় সঠিক পথে অবিচল থাকা।
মানুষের যাবতীয় সমস্যা ও সঙ্কট দূর করা এবং যাবতীয় প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পন্থাটি হচ্ছে নামাজ। রাসূল (সা)-এর পবিত্র অভ্যাস ছিল যে, যখনই তিনি কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখনই নামাজ পড়তেন। আর আল্লাহতায়ালা সে নামাজের বরকতেই তাঁর যাবতীয় বিপদাপদ দূর করে দিতেন।
বন্ধুরা, আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের জন্য দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। তোমার ছোট ভাই-বোন থাকলে তাদেরকেও এখন থেকে নামাজ শিখতে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। রাতে আগে-ভাগে ঘুমিয়ে পড়ে ফজরে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে অভ্যাস গড়ে তোলো। সকল নামাজ গভীর মনোযোগ দিয়ে আন্তরিকতার সাথে আদায় করলে আল্লাহ আমাদেরকে সকল বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত রাখবেন।
আল্লাহ আমাদেরকে বিপদে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থন করার তাওফিক দিন। আমিন।
গ্রন্থনা : মিজানুর রহমান

No comments:

Post a Comment